চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বাজারের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ডিমগুলো প্লাস্টিকের ডিম কি না তা নিশ্চিত হতে রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২২ মে) রাতে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক শামছুল ইসলাম রমিজ।
এর আগে হাজীগঞ্জ বাজার থেকে এক ক্রেতা বেশ কিছু ডিম বাসায় নিয়ে যান। সেই ডিমের মধ্যে তিনি ব্যতিক্রম কিছু পরিবর্তন দেখেন। এর পরেই ওই ক্রেতা ডিমগুলো ওই বিক্রেতার দোকানে পুনরায় ফেরত নিয়ে যান। আর এগুলো প্লাস্টিকের ডিম বলে অবহিত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলোচিত এই ডিম ক্রেতা হচ্ছেন হাজীগঞ্জ বাজারের শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন তালুকদার।
তিনি জানান, গত বুধবার পৌর হকার্স মার্কেটের মাইশা স্টোর থেকে ২১টি ডিম ক্রয় করেন। পরে এসব ডিম বাসায় নিয়ে রান্না করতে গেলে ডিমগুলো রাবারের মতো দেখতে পান। তখনই তিনি ডিমগুলো মাইশা স্টোরে ফেরত দেন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেন।
ঘটনা সম্পর্কে ডিম বিক্রেতা মাইশা ষ্টোরের ইব্রাহিম খলিল জানান, আমি ত নিজে ডিম বানাই না! ডিম আমি অন্যান্য পণ্যের মতোই মোকাম করে দোকানে খুচরা বা হালি ধরে বিক্রি করি। আমি এগুলো শাহরাস্তির ওয়ারুক বাজার থেকে মোকাম(ক্রয়) করেছি। এগুলো গরমে হয়তো নষ্ট হয়ে থাকতে পারে। তবে প্লাস্টিকের ডিম হবে কিভাবে বুজে আসছে না।
এ ব্যপারে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক শামছুল ইসলাম রমিজ জানান, খবর পেয়ে আমি ওই দোকানে গিয়ে অভিযোগকারীর কাছ থেকে ৩টি ডিম উদ্ধার করেছি। এর মধ্যে একটি ডিম সিলগালা করে দোকানিকে দিয়ে আসি। আর বাকী দুইটি ডিম সত্যি প্লাস্টিকের ডিম কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সংরক্ষণ করে রাজধানী ঢাকার মহাখালী জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট আসলে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে হাজীগঞ্জ বাজারে দোকানে বিক্রি হচ্ছে প্লাস্টিকের ডিম এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়লে অনেকের মধ্যেই খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে।