করোনা মহামারি মোকাবিলা ও জনগণকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক উন্নত দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে ক্লিনিক ভবনে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই করোনা মহামারির মধ্যে মানুষকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রথম থেকেই সচেষ্ট ছিলেন এবং সেই কারণে এই মরণঘাতী করোনা মহামারি মোকাবিলা ও জনগণকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক উন্নত দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে।
উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন- করোনার দ্বিতীয় ডোজের প্রাপ্যতা নিয়ে অনেক সংশয় ছড়ানো হয়েছিল। কিছু পত্রপত্রিকা, প্রচার মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক অপপ্রচার চালিয়ে করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরির অপচেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ইতোমধ্যেই প্রায় ১৭ লাখ মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকা নয়, অন্যান্য দেশ থেকেও টিকা আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
এ সময় গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গুজব প্রতিরোধে আপনারা সব সময়েই সচেষ্ট ছিলেন, এখনো নানা ধরনের গুজব রটনার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আপনাদেরকে সোচ্চার থাকার অনুরোধ জানাই।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের এক নার্সকে করোনার টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওইদিন বিকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
প্রথম দিন রুনু কস্তার সঙ্গে একই হাসপাতালের দুজন সিনিয়র স্টাফ নার্স মুন্নী খাতুন ও রিনা সরকারও টিকা নেন। এদিন আরও টিকা নেন ডা. আহমেদ লুৎফুল মবিন, চিকিৎসক কুর্মিটোলা; অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; দিদারুল ইসলাম, ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
ভিডিও কনফারেন্সে প্রথম ৫ জনের ওপর টিকার প্রয়োগ সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সরকারপ্রধান বলেন, বর্তমান সরকার দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে তা আবারও প্রমাণ হলো।শিগগিরই সারা দেশে টিকা দেওয়া শুরু হবে, যাতে দেশের মানুষ করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা পায়।
প্রথম করোনার টিকা দেওয়া হয় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে। টিকা নিয়ে নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন।