করোনা সংকট মোকাবিলায় টিকা কার্যক্রমসহ তিন প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে প্রায় আট হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ।
বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা টিকা কেনাসহ তা সংরক্ষণ ও বিরতণে বিশ্বব্যাংকের দেয়া ৫০ কোটি ডলার ব্যয় করবে বাংলাদেশ সরকার। এছাড়াও এ অর্থ দিয়ে দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কাজ করতে পারবে সরকার। আলাদা দুটি চুক্তির আওতায় ইজিপি’র আধুনিকায়ন ও সরকারি ক্রয়ে সচ্ছতা নিশ্চিতে অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, করোনা সংকট বিশ্বজুড়ে একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এখনো বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জ ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে। তবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন টিকা কার্যক্রম জোরদার করা। মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করবে দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক ঋণে প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশকে টিকা দেয়া সম্ভব হবে। এছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে। পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ইলেকট্রনিক সরকারি ক্রয় (ই-জিপি) কভারেজ বাড়াতে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক।