শিরোনাম
অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ২৩০ কোটি ডলার আসিয়ান সদস্য পদ পেতে ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন চান ড. ইউনূস আবারও ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ট্রাম্প-হ্যারিস, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইর আভাস বিএনপির ৭ আইনজীবীকে অব্যাহতি, আবেদনকারীকে জরিমানা ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে এলো নতুন নির্দেশনা চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্যোগে চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত সব সিটিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রশাসক : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি আসছে নেইমার-এন্দ্রিককে ছাড়াই ব্রাজিলের দল ঘোষণা! মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সেনা ও অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বিসিএস কোটার সংখ্যায় পরিবর্তন আসতে পারে আ’লীগের আমলে প্রতিবছর গড়ে পাচার হয়েছে ১৫ বিলিয়ন ডলার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের
সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন

হেফাজতের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সমর্থন করি না: ডা. জাফরুল্লাহ

দর্পণ প্রতিবেদন / ৩০৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১

ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, হেফাজতের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সমর্থন করি না। তাদের মিটিং মিছিল করাটাকে সমর্থন করি। এটা তাদের মৌলিক অধিকার। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় তৃতীয় রাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে।

সোমবার দুপুরে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেজর হায়দার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গত শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিহত ও ধ্বংসাত্মক ঘটনার সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য ঢাকা থেকে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট টিম সফর করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষ বিবরণ তুলে ধরার লক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ডা: জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা ১৪ সদস্যের একটি টিম ঘটনার স্থান পরিদর্শন করি। সেখানে স্থানীয় জনগণ, আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও হেফাজতের বক্তব্য শুনেছি এবং দেখেছি। শুনে এবং দেখে এটিই আমাদের কাছে প্রতিয়মান হয়েছে যে এই হামলার সঙ্গে তৃতীয় রাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে।

তিনি বলেন, রেল স্টেশনে আগুনের ঘটনা সাতদিন আগে ঘটলেও শনিবার আমরা সেখানে গিয়ে দেখেছি আগুন জ্বলছে। এটা কেন? এটা কাকে দেখাতে চান । তাহলে এটা কি হেফাজত ইসলাম নাকি জনগণ নাকি অন্য কোন তৃতীয় রাষ্ট্র এখানে জড়িত।

ডা: জাফরুল্লাহ বলেন, রাজনীতি এখন আমলা ও ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের করতে দেন। সেখানকার এমপি একজন আমলা, তার কোন রাজনৈতিক কর্মী নেই। তার রয়েছে পুলিশ ও হেলমেট বাহিনী।

সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী সবার পক্ষ থেকে তিনটি প্রস্তব তুলে ধরে বলেন, নিহত আহতদের তালিকা প্রকাশ করে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও সঠিক বিচার ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বায়তুল মোকাররম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত পুরো ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করতে হবে। তদন্ত কমিটিতে নাগরিকদের বিভিন্ন পক্ষের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। একই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা হিসেবে ২০ হাজারের অধিক মানুষের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। সেই সব মামলার নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

গণফোরামের নেতা ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, মানুষ এখনো কথা বলতে পারেনা। অজ্ঞাতনামা দিয়ে মানুষকে আটকানো সুযোগ হয়েছে। সকলকে এই ধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি শিশুর শরীরে গুলিবিদ্ধ, অথচ চিকিৎসা নিতে যেতে পারছেনা। এই ধরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফত, রাষ্ট্রচিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, রাষ্ট্র চিন্তার দিদারুল ভূইয়া, নারীর জন্য সুশাসনের নির্বাহী পরিচালক রুবী আমাতউল্লাহ, পানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক ও ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।

  • তথ্যসূত্র: যুগান্তর


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ