স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শুধু হেফাজত নয়, হেফাজতের নামে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত এবং বিএনপি একসঙ্গে তাণ্ডব চালিয়েছে। হেফাজতের কাঁধে সওয়ার হয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। বিএনপি রাজনৈতিকভাবে জনবিচ্ছিন্ন ও ব্যর্থ হওয়ায় এবং তাদের সাংগঠনিক সেই শক্তি নেই বলে তারা এখন হেফাজতের কাঁধে ভর করেছে।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
এর আগে হরতালের দিন (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও বলেন একই কথা।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিক্ষোভে হতাহতের ঘটনায় গত শনিবার (২৭ মার্চ) বিক্ষোভ ও রোববার হরতাল ডাকে হেফাজতে ইসলাম। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক হামলা, ভাংচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কয়েকটি থানায় হামলা, ভাংচুর, অস্ত্র লুটসহ বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হরতালের দিনও ঢাকাসহ সারা দেশে গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, সড়ক অবরোধ, হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করলে তাদের ওপর হামলা, এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই দুই দিনে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গত রোববার পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১০ ও চট্টগ্রামে ৪ জন নিহত হন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, দুইদিন ধরে দেশে বিক্ষোভ হরতাল ডেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনগুলো সম্পৃক্ত হয়েছে মনে হচ্ছে। হরতাল ডেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সুন্দর, শান্তিপূর্ণ দেশ পরিচালনা ব্যাহত করতেই এসব অপচেষ্টা। শুধু হেফাজত নয়, বাঁশের কেল্লার সম্পৃক্ততা প্রমাণ করে যারা আগে সন্ত্রাস ও জঙ্গি সংগঠন করেছিল তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করে। রণকৌশল জানান দিচ্ছে। এতে জামায়াত-শিবির, হরকাতুল জিহাদ ও বিএনপির মদদ থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আজ (৩০ মার্চ) পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ স্মারক ম্যুরাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’ উদ্বোধনের আগে সাংবাদিকদের হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই সব দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজনীতির নামে এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না।