কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ফসিল জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী মো.মহসিন বেপারী।
প্রতিদিন ট্রাকে করে সে মাটি বহন করে বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটা ও বসতবাড়ির মালিকদের কাছে। তবে ফসলী জমি থেকে মাটি বহনের জন্য যে সড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা এখন বেহাল। ভারী জিনিস বহন করায় কাঁচা সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে। ট্রাকের চাকার চাপায় রাস্তায় নালার মতো তৈরি হয়েছে। ধুলা জমে থাকায় পথ চলতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পথচারীদের।
স্থানীয়রা জানান, কাদলা গ্রামের পূর্বপাড়া রুহুলা আমিন বেপারী ছেলে মো.মহাসিন মিয়া ২০থেকে ২৫টি টলি ট্রাক দিয়ে দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ফসিল জমি থেকে মাটি কাটছেন। কাঁচা রাস্তার বড় গর্ত ও খানাখন্দ হওয়ায় ধুলায় এ পথে চলা দুষ্কর। অতিষ্ঠ এলাকার লোকজন।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে দরবেশগঞ্জ এলাকায় গিয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের কাঁচা রাস্তা দিয়ে মাটিভর্তি ট্রাক, লড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। এসব মাটি নেওয়া হয় কাদলা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে। সেখানে খননযন্ত্র চালাতে দেখা যায় কয়েক ব্যক্তিকে।
তারা জানান, খননযন্ত্রের মালিক মহসিন। তিনি একমাস ধরে মাটি কাটার কাজ করছেন। মাটির ধরন ও দূরত্ব বুঝে দাম নির্ধারিত হয়। প্রতিদিন হাইস্কুলের পাশের রাস্তা দিয়ে প্রায় ২৫টি ট্রাক মাটি বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হয়।
ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন বলেন,অবৈধভাবে টলি ট্রাক দিয়ে মাটি নিয়ে গ্রামীণ জনপদের পাকা ও কাঁচা রাস্তার ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে বিষয়টি আমি কয়েক বার বাঁধা দিয়েছি। তারা কোনো বাঁধা মানেননি।
কচুয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) একিমিত্র চাকমা বলেন,দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ফসিল জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ার বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।