মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা অস্বীকার করেন স্বাধীন বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। এই দেশে রাজনীতি করতে হলে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর অবদানকে স্বীকার করেই রাজনীতি করতে হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশ গণআজাদী লীগ আয়োজিত ‘মুজিববর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যারা জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, কমিশন গঠন করে জিয়া-মোশতাকসহ বঙ্গবন্ধুর খুনের নেপথ্য মদদদাতাদের আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
বিশেষ অতিথিদের বক্তব্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে অনৈতিক কাজ করেছেন জিয়াউর রহমান। যা জাতি কখনো ক্ষমা করবে না। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে গিয়ে যারা দেশ চালাতে চেয়েছিলেন তারা সব সময়ই ব্যর্থ হয়েছেন।
আলোচনা সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, মুজিববর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকালে বঙ্গবন্ধুর খুনের নেপথ্য মদদদাতাদের খেতাব আইনি প্রক্রিয়া বাতিল করা এই প্রজন্মের সবার দাবি।
গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসকে সিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, আওয়ামী লীগ নেতা মিরাজ হোসেন, আবদুল মতিন ভুইয়া, রিয়াজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, গণআজাদী লীগের মহাসচিব ড. নাসির উদ্দিন খানসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন।
সভায় বক্তারা বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করতে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।