ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু আত্মত্যাগী ও আত্মশুদ্ধ তরুণ প্রজন্ম দেখতে চেয়েছিলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।’
রোববার (৩১ জানুয়ারি) মিরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে একাত্তরের গণহত্যার জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আরেফিন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে মনে-প্রাণে উপলব্ধি করতে হবে, তাহলে দেশে কোনো মানুষ বঞ্চিত থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। আমার মনে হয়, এটাই মুজিব জন্মশতবার্ষিকীর সবচেয়ে বড় উপহার।’
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ভালো থাকবে, তারা ন্যায্য অধিকার ভোগ করবে; যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের মানুষ ভোগ করছে।’
ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াছ উদ্দিন মোল্লাহ্ বলেন, ‘গণহত্যার কারণে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এ দাবি আজ গোটা বাংলাদেশের।’
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী নেওয়াজ, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, কার্যনির্বাহী সদস্য হুমায়ুন কবীর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহ-সভাপতি কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম সৈকত জোয়ার্দার, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. সামছুল আলম অনিক, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত প্রমুখ।