শিরোনাম
স্বতন্ত্র প্রার্থী ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ১৭ ডিসেম্বরের পর: নাছিম বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম: প্রধানমন্ত্রী শক্তিশালী ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠলো ফিলিপিন্স শিক্ষাক্রমে ‘ব্যাঙের লাফ, হাঁসের ডাক’ মিথ্যাচার মাইক্রোসফট ৩৬৫ এক্সটেনশন বন্ধ নভেম্বরে প্রবাসী আয় ১৯৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স ১৮ ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনি প্রচারণার সুযোগ নেই: ইসি মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর ছেলে দীপু আর নেই আবারও মা হলেন শুভশ্রী ভূমিকম্পে কুবির তিন হলে ফাটল বেনাপোল দিয়ে ঢুকলো ৭৪ মেট্রিক টন আলু  প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে গোপালগঞ্জ ৩ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল দুবাইয়ে জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু গাজীপুরে বাসে আগুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে সংসদ সদস্য পদ ছাড়তে হবে না : ইসি
মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন

ভোটে বিএনপির ভরাডুবির কারণ জানালেন কাদের

দর্পণ রিপোর্ট / ১৩৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২১
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬০টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণনা শেষে বেসরকারিভাবে বেশিরভাগ পৌরসভার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে। এর পেছনে ‘দুটি কারণ’ সামনে এনেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি মনে করেন, ‘নেতৃত্বের দুর্বলতা আর অস্বচ্ছ রাজনীতি’- এ দুই কারণ বিএনপিকে ভোটের রাজনীতি থেকে দিন দিন পিছিয়ে দিচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি জনগণের কাছে ভোট না চেয়ে সরকারের অন্ধ সমালোচনা ও মিথ্যাচারকেই ব্রত হিসেবে নিয়েছে। যা প্রকারান্তরে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বকে দুর্বল করে তুলছে।’

রোববার (১৭ জানুয়ারি) তার সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পৌরসভা নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছে, তাদের ভবিষ্যতে দলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে আর বিবেচনায় আনা হবে না। পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না এবং দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘তারা জয়ী হোক কিংবা পরাজিত হোক, পরবর্তী নির্বাচনে আর মনোনয়ন পাবে না। এটাই আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গতকাল দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬০টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীগণ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে। এ বিজয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও মানবিক নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা এবং সমৃদ্ধির বিজয়।’

এ বিজয়কে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেয়ার বিজয় বলেও উল্লেখ করেন সেতুমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসেবে বলা হয়েছে, গতকালের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতিও ছিলো আশাব্যঞ্জক। সূত্র মতে, ভোটার উপস্থিতি ছিলো ৬০ থেকে ৭০ ভাগ। ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি শেখ হাসিনা সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের অব্যাহত আস্থারই বহিঃপ্রকাশ।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘যারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, নির্বাচন নিয়ে কথায় কথায় হতাশা প্রকাশ করে, গতকালের নির্বাচনে জনগণ তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে।’

‘ভোটকেন্দ্র সরকারি দলের দখলে ছিলো’- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে পাল্টা প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাহলে তাদের ৪ জন প্রার্থী কিভাবে বিজয়ী হলেন? বিএনপি নেতারা মাঠে না গিয়ে ঘরে বসে শীত উদযাপন করে। কর্মীরা ভোট দিতে চাইলেও মাঝদুপুরে ভোট বর্জনের সংস্কৃতি তাদের তাড়া করে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘৬০ পৌরসভার মধ্যে ২৯ টিতে ইভিএম এবং ৩১টিতে ব্যালটে ভোট হয়েছে। ইভিএমে জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। তাদের মধ্যে ছিলো না কোনও জড়তা। ইভিএমে ভোট প্রদানে জনগণের আগ্রহ এখন অনেক বেড়েছে।’

‘বিএনপির আমলে নির্বাচন মানেই হানাহানি’- এমন মন্তব্য করে সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির আমলে নির্বাচনে সংঘাত আর প্রাণহানি লেগেই থাকতো। বর্তমান সরকারের সময়ে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ইউনিটে নির্বাচনে হানাহানি ও অস্ত্রের মহড়া বন্ধ হয়েছে।’

সিরাজগঞ্জে নির্বাচনী সংঘাতকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাদেরকে ভবিষ্যতে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ