রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকাস্থ চাঁদপুর সদর উপজেলা সমিতি ও চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর আয়োজনে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট্য চিকিৎসক ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমি ট্রাকরোড গাজী সড়কের এই রোডে প্রথম আসলাম। আজকের এই অনুষ্ঠানের কারনে এই রোডে আসা হলো। আসার সময় একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম রাস্তা ও আশপাশে খুব খারাপ অবস্থা। এলাকার স্থানীয়রা সম্মিলিতভাবে বসে রাস্তাটি প্রশস্ত করনে নিজেদের উদ্যোগ নিতে হবে। একটি অ্যাম্বুলেন্স বা যাতায়াতের জন্য রাস্তাটি প্রশস্তকরন অতি জরুরি। যেহেতু এই এলাকায় একটি হাসপাতাল হয়েছে। তাই হাসপাতালটি যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করা হয়। সেই জন্য স্থানীয়দের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন। সকলে জানেন পৌরসভা চলে জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। অনেক সময় ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও অনেক কাজ করা যায় না। তাই আপনারা সময়মত পৌর ট্যাক ও বিল পরিশোধ করবেন। বর্তমান মেয়র সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষেরর কথা শুনেন। তাকে আপনাদের সেবা নিশ্চিত করতে সহযোগীতা করবেন। অচিরেই চাঁদপুর শহরবাসীকে আমরা সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও জঞ্জালমুক্ত পরিবেশ উপহার দিতে পারবো। আপনারা শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির জন্য দোয়া করবেন। যেন তিনি সুস্থ থেকে আপনাদের অর্পিত দায়িত্ব ভালভাবে পালন করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন গত ৮/৯ মাস যাবত চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে করোনাকালিন সময়ে করোনা রোগীদের সেবা দিতে হচ্ছে। চিকিৎসকদের অনেক পরিশ্রম করতে হচ্ছে। যার ফলে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবার কিছুটা বিঘ্ন হচ্ছে। এটা স্বাভাবিক। তাও আমাদের চাঁদপুরে সদর হাসপাতালে অন্য রোগীরা যেভাবে সেবা পাচ্ছে, আর ঢাকায় কোন হাসপাতালে অক্টোবর পর্যন্ত করোনা রোগী ছাড়া অন্য কোন রোগী আসতেই পারে না। হাসপাতালে আসলেই সকলকে ফিরিয়ে দেওয়া হতো করোনা সার্টিফিকেট নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু আমাদের চাঁদপুর সদর হাসপাতালে তা ছিল না। আমাদের কে বুঝতে হবে যে আমাদের সিমাবদ্ধতা রয়েছে। আর এই সিমাবদ্ধত্র কারণে অনেক সময় অনেক কিছু করা যায় না। করোনাকালীন সময়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে অক্সিজেনের সমস্যা হচ্ছে এটার শুনার পর আপনাদের শিক্ষমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি একটি সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট করে দিয়েছেন। তারপর দেখা গেল চাঁদপুরের করোনা রোগীদের টেস্টের রিপোর্ট ঢাকা থেকে আসতে ৫/৮ দিন সময় লেগে যেত। যদি এটি রোগীর সময়মত চিকিৎসা শুরু না হয় তাহলে রোগীর চিকিৎসা করা কঠিন হবে। সেই কথা চিন্তা করে আমরা চাঁদপুরে ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ ফাউন্ডেশনের নামে একটি করোনা ল্যাব প্রতিষ্ঠা করি। এখন সকালে স্যাম্পল দিলে বিকেলে রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। আর দিনে দিনেই রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুরে করোনায় মৃত্যুর হার এদম কমই ছিল। পরে আস্তে আস্তে প্রতিমাসে ২ থেকে ৩ জন করে মারা গেলেও মৃত্যুহার ছিল না বলেই চলে। করোনাকালিন সময়ে অনেক কিছু করা কঠিন। তবে করোনা চলে গেলে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের কিছু কনসালটেন্ট ও যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা হবে। চাঁদপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা বর্তমানে ভাল রয়েছে। আরও ভাল চিকিৎসা সেবা পাবেন সেই ব্যবস্থা করা হবে। আর চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ হয়ে গেলে ঢাকায় গিয়ে বড় বড় প্রফেসর কে দেখাতে হবে না। চাঁদপুরেই ভাল ভাল প্রফেসর চিকিৎসকের সেবা পাবেন।
জাতীয় দৈনিক অনুপমা ও দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক, ঢাকাস্থ চাঁদপুর সদর উপজেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র অ্যাড. মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও দৈনিক মেঘনাবার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ গিয়াসউদ্দিন মিলন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর দর্পণের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ শরীফ চৌধুরী, চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মোঃ নাসিম উদ্দিন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, দৈনিক চাঁদপুর জমিনের উপদেষ্টা ও জাতীয় দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের চাঁদপুর প্রতিনিধি মোঃ শওকত আলী, দৈনিক শপথ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেলা শাখার নব নির্বাচিত সভাপতি এম এ লতিফ, পৌর ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউনুস সোহেব, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ হাবিবুর রহমান দর্জি, চাঁদপুর জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম এর সভাপতি আল ইমরান শোভন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, বাংলাদেশ ডেন্টাল পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ মাসুদ হাসান।
আরোও বক্তব্য রাখেন, পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, বাবুল পাটওয়ারী, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এ বি এম রেজওয়ান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সদস্য কে এম সালাউদ্দিন, বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী ও যুবদল নেতা মোঃ মনির হোসেন তালূকদার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হারুনুর রশিদ, পৌর ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন বাবু পাটওয়ারী, পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এমরান হোসেন সেলিম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও বাগাদী ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব ফারুক আহমেদ কাকন, চাঁদপুর মডেল থানার এএসআই মোঃ শাখওয়াত হোসেন,চাঁদপুর জমিন পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আহমেদ, চাঁদপুর জমিন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেলা শাখার নব নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: মাজহারুল ইসলাম অনিক , চাঁদপুর পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন খান রনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ গাজী মুন্না, জেলা ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল হেলাল, আবরার হাসিন (তমির), মোঃ রাফি, ১০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি আজিজ গাজীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনাসভা শেষে ৫ শতাধিক অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।