বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় সরকারি আইন অমান্য করে ফসলি জমিতে অনুমোদনহীন পুকুর খনন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসন।
এরই ধারাবাহিকতায়, ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছে এমন সংবাদ পেয়ে রোববার (২০শে ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার ৫নং ইউনিয়নের পুনাইল গ্রামে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড মোঃ নুরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নন্দীগ্রাম থানার এসআই চাঁন মিয়া সহ পলিশ ফোর্স।
এসময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় ড্রেজার (ভেকু) মেশিনের মালিক ও কর্মচারী সহ পুকুরের মালিক। পড়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে তার ইউনিয়নে অনুমোদন ছাড়া ফসলি জমিতে পুকুর খননের মত এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে বিষয়ে নজর রাখতে বলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, কৃষিজমি সুরক্ষা ও ব্যাবহার আইন ২০১৬-এর ৪ নম্বর ধারায় বলা আছে, বাংলাদেশে যে সকল কৃষিজমি রহিয়াছে তাহা এই আইনের মাধ্যমে সুরক্ষা করিতে হইবে এবং কোন ভাবেই তাহার ব্যাবহার ভিত্তিক শ্রেনী পরিবর্তন করা যাইবেনা। তবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে এবং উদ্দেশ্য প্রণীত বিধি মোতাবেক অত্র বিধানটি পরিবর্তন করা যাইবে। তাই অনুমোদনহীন ভাবে কৃষি জমিতে পুকুর খনন দন্ডনীয় অপরাধ আর এই অপরাধে দোষী ব্যাক্তির সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও জেল হতে পারে।