শুরু থেকেই করোনাভাইরাসকে ‘সামান্য ফ্লু’ বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে আসছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো। পরে নিজেই আক্রান্ত হলেও মত বদলাননি। বরং ভাইরাসকে অবহেলা করার পাশাপাশি এখন ভ্যাকসিন নিয়েও বিদ্রুপ করেছেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন মানুষকে কুমির বানিয়ে দিতে পারে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ছেলেরা মেয়েকণ্ঠে কথা বলবে আর মেয়েদের দাড়ি গজাবে। এ কারণে নিজে কখনো এই ভ্যাকসিন নিবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার বলসোনারো বলেন, ‘ফাইজারের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো দায় আমরা নেব না। যদি তুমি কুমিরে রূপান্তরিত হও, তাহলে সেটা তোমার সমস্যা।’
টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইঙ্গিত করে বলসোনারো বলেন, ‘যদি তুমি অতিমানব হয়ে যাও, যদি নারীর দাড়ি গজাতে শুরু করে অথবা পুরুষ নারীদের গলায় কথা বলতে শুরু করে, তাহলে কিছু করার থাকবে না।’
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ব্রাজিলে কয়েক সপ্তাহ ধরে এই টিকা নিয়ে পরীক্ষা চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে টিকার ব্যবহার শুরু হয়েছে। গত বুধবার টিকাদান কর্মসূচি শুরুর সময় বলসোনোরো বলেন, টিকা বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে। তবে এটা বাধ্যতামূলক নয়।
এর পরদিনই ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট টিকা বাধ্যতামূলক বলে রুল জারি করেন। সুপ্রিম কোর্ট এও বলেছেন, টিকা নিতে মানুষকে জোর করা যাবে না। জনসমাগমস্থলে টিকা না নেওয়া মানুষের প্রবেশে বাধা দিতে পারবে।
ব্রাজিলে ৭০ লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ।
বলসোনারো বলেছেন, ‘ব্রাজিলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা অ্যানভিসা টিকার অনুমোদন দিলে যারা চাইবেন, তাদের প্রত্যেকের কাছে টিকা সহজলভ্য করা হবে। তবে আমি টিকা নিতে চাই না। অনেকে বলছেন, আমি বাজে দৃষ্টান্ত তৈরি করছি। কিন্তু সেই বোকাদের আমি বলতে চাই, আমি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে গেছি। আমার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। তাহলে আমি আর কেন টিকা নেব?’