কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদীর কূল ঘেঁষে নির্মিত হয়েছে একটি মুক্তমঞ্চ। নাম দেওয়া হয়েছে ‘নরসুন্দা লেকসিটি’। নয়নাভিরাম প্রকল্পটি এখন শহর ও শহরতলির মানুষের কাছে প্রধান বিনোদন কেন্দ্র ও আমেজের জায়গা হয়ে ওঠেছে।
শহরের মধ্য দিয়ে এক সময়ের খরস্রোতা নরসুন্দা নদী ঘিরে রয়েছে নানা উপাখ্যান। তা জীবন্ত করে তোলার লক্ষ্যে মৃতপ্রায় নরসুন্দা নদীকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এই লেকসিটি। প্রকল্পে নির্মিত ৫টি দৃষ্টিন্দন সেতু ইতোমধ্যে শহরের আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে। নদীর দুই পাড়ের উত্তাল বাতাস আর সৌন্দর্য উপভোগ ও হাঁটাচলা করার জন্য রয়েছে সুপরিসর ওয়াকওয়ে। আখড়াবাজারে দৃষ্টিনন্দন সেতুর কাছে স্বাধীনতা চত্বরে প্রায় দিনই বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে।
গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে গৌরাঙ্গবাজার সেতু পর্যন্ত নদী-তীরবর্তী হাঁটার সড়ক শহরবাসীকে শরীর ও মন সতেজ রাখার সুবিধা দিয়েছে। এ ছাড়া গৌরাঙ্গবাজার সেতু সংলগ্ন নদীর পাড়ে পার্কের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ এখনো চলছে। এটি শহরবাসীর বিনোদনে বাড়তি আনন্দ জোগায়। নরসুন্দার বড়পাড়ে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজের পুকুর, ভাসমান মুক্তমঞ্চ, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ইতোমধ্যে মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেছে। দর্শনার্থীদের থাকার জন্য কিশোরগঞ্জ শহরে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলও রয়েছে। শহরের ক্যাসেল সালাম, গাংচিল ও হোটেল উজানভাটি, হোটেল শ্রাবনী, হোটেল আলমোবারকসহ আরো অনেক আবাসিক হোটেল রয়েছে।
নতুন এই বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা একজন দর্শনার্থী শেখ সালাম। তিনি বলেন, ‘এখানে এসে বেশ ভালোই লাগছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। বাকি কাজ সম্পন্ন হলে আরও সুন্দর দেখাবে।’
তমার বাড়ি কিশোরগঞ্জ শহরে। তিনি ঘুরতে এসেছেন বন্ধুকে নিয়ে। তিনি বলেন, ‘করোনার জন্য কলেজ বন্ধ। বাসা থেকেও তেমন বের হই না। আজ ঘুরতে আসলাম। অনেক ভালো লাগছে।’
কিশোরগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সম্মুখভাগে এই নরসুন্দা লেকসিটি অবস্থিত। বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাস যোগে যাওয়া যাবে। তবে, ঢাকা থেকে ট্রেন এবং বাস দুটোতেই যাওয়া যাবে।