চাঁদপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরে মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদ কার্যালয় প্রঙ্গন থেকে মুক্তিযোদ্ধের বিজয় মেলার কর্মকর্তারা শেভাযাত্রা করে অঙ্গিকার সম্মুখে অবস্থান করে। সেখানে মুক্ত দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ও বিজয় মেলার স্মৃতিচারন পরিষদের আহ্বায়ক মুক্তিযুদ্ধা ইয়াকুব মাস্টারের সভাপতিত্বে এবং বিজয় মেলার মহাসচিব হারুন আল রশীদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আজকের দিনে চাঁদপুর পাকিস্তান হানাদার মুক্ত হয়েছিল। এখন আবার পাকিস্তান হানাদার বাহীনির পেতাত্মারা বিজয়ের মাসে মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। তরা জাতীর পিতার ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে। তারা এ আঘাত করে জানান দিতে চেয়েছে। তাদের আমরা দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিব।
আমরা মুক্তিযুদ্ধারা জাতীর পিতামবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সে দিন জীবন বাজী রেখে ৯ মাস যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর কে হানাদার মুক্ত করেছি। ১৯৯২ সাল থেকে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী সরকারিমউচ্চ বিদ্যয়লয় মাঠে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু হয়ে ছিল। এ বছর বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে বিজয় মেলা বন্ধ রাখা হয়েছে। তার পরও বিজয় মেলার পক্ষ থেকে চাঁদপুর মুক্ত দিবস পালন করা হচ্ছে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন-বিজয় মেলার চেয়ারম্যান অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরণ, বিজয় মেলার সাংস্কৃতিক পরিষদের আআহ্বায়ক তপন সরকার, কবি ও লেখক ডা.পীযুষ কান্তি বড়ুয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজয় মেলার মাঠ ও মঞ্চ পরুষদের আহ্বায়ক ইয়াহিয়া কিরণ, মুক্তিযুদ্ধা সানা উল্যা খান, মাঠ ও মঞ্চ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড.আমির উদ্দীন ভূঁইয়া মন্টু, আমল রক্ষিত মনা, নাট্য পরিষদের সচিব এম আর ইসলাম বাবু, মানিক পোদ্দার, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বাবু, মুনওয়ার কানন, মানিক দাস, এস এম সোহেল, শাহরিয়ার পলাশ, শাহ আলম, মাসুম বেপারীসহ মুক্তিযুদ্ধাগন। পরে অঙ্গীকারে শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদান করা হয়।