দেশের ছয়টি চিনিকল বন্ধ করায় এবং তিনটি চিনিকল বন্ধের নোটিশ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘চিনিকল বন্ধের আকস্মিক সিদ্ধান্তে লাখ লাখ আখচাষি এবং হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারী চরম বিপাকে পড়েছেন। সৃষ্টি হয়েছে হতাশা এবং অনিশ্চয়তা। সরকারের এই অমানবিক ও অদূরদর্শী সিদ্ধান্তে একদিকে আখচাষিসহ চিনিকলে খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে বাজারে চিনির সংকটও সৃষ্টি হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে চিনিকলগুলোকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সরকার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করেছে বলে মনে হচ্ছে। চিনিকলগুলোর পরিচালনা পরিষদে ক্ষমতাসীন দলের এমপি ও নেতাকর্মীদের যুক্ত করে তাদের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে লুটপাট ও দুর্নীতি করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা এসব চিনিকলের চিনি, চিটা গুড় এবং যন্ত্রপাতি বিক্রির টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে কম দামে নিজেরাই কিনে নিচ্ছে। চিনিকলগুলোতে ইচ্ছেমতো দলীয় লোকদের মাস্টাররোলে চাকরি দেওয়ার নামে কাজ না করিয়ে বেতন-ভাতা দিচ্ছে। ফলে ব্যয় বাড়ছে। অন্যদিকে চিনির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভারত থেকে নিম্নমানের চিনি আমদানি করে বেশি দামে বিক্রির সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনগণ। চাষিরা আখ উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হচ্ছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকার বিরোধী দল ও মতের মানুষদের নিশ্চিহ্ন করে দীর্ঘকাল ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার চিন্তায় বিভোর থাকায় জনগণের ভালো-মন্দ দেখার সময় তাদের নেই। কিছুদিন আগেও সরকার ২৫টি পাটকল আকস্মিকভাবে বন্ধ করায় হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারী বেকার হয়েছে। এ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা ঘরে ঘরে বেকার তৈরি করছে।’
চিনিকল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।