বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ার্স ড্রাফটে সবাইকে বিস্মিত করেছিল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। সুযোগ থাকলেও নিজেদের প্রথম ডাকে দলে নেয়নি পাঁচ আইকন ক্রিকেটারের মধ্যে বাকি থাকা মাহমুদউল্লাহকে। তাদের প্রথম পছন্দ ছিল ‘বি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারকে কেন নিলেন না, সেই প্রশ্নের উত্তর মিলেছে বৃহস্পতিবার।
১২ নভেম্বর হোটেল লা মেরিডিয়ানে অনুষ্ঠিত প্লেয়ার্স ড্রাফটে লটারিতে প্রথম ডাক পাওয়ার সুযোগ পায় বেক্সিমকো ঢাকা। ভাবা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরা সাকিব আল হাসানকে তারা দলে ভেড়াবে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে মুশফিকুর রহিমকে দলে নেয় তারা। এরপর জেমকন খুলনা নেয় সাকিবকে। তৃতীয় ডাকে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে নেয় ফরচুন বরিশাল।
চতুর্থ ডাক ছিল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের, তারা ডাক দেয় চতুর্থ আইকন ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমানকে। বাকি ছিলেন ‘এ’ ক্যাটাগরির মাহমুদউল্লাহ, প্রথম রাউন্ডের পঞ্চম ও শেষ ডাকটি ছিল রাজশাহীর। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সাইফ উদ্দিনকে দলে ভেড়ায় তারা। অবশ্য দ্বিতীয় রাউন্ডে মাহমুদউল্লাহ দল পেয়ে যান, তাকে নেয় জেমকন খুলনা।
মাহমুদউল্লাহকে নেওয়ার সুযোগ থাকলেও কেন তাকে নেয়নি রাজশাহী? জানা গেলো, জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে নেওয়ার ইচ্ছা ছিল তাদের। কিন্তু ওই সময় করোনায় আক্রান্ত ছিলেন এই অলরাউন্ডার। তাই তাকে নিয়ে দ্বিধায় ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার সময় মাহমুদউল্লাহ সুস্থ হবেন কি না তা নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। তাই ঝুঁকি এড়াতে সাইফ উদ্দিনকে দলে নেয় রাজশাহী।
দলটির কোচ সারোয়ার ইমরান বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের কাছে এই বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দেন, ‘মাহমুদউল্লাহ আমাদের পরিকল্পনায় ছিল। সাকিব আল হাসানকেও নেওয়ার ইচ্ছা ছিল আমাদের। মুশফিক ছিল দুই নম্বরে, তামিম তিনে আর মাহমুদউল্লাহ চার নম্বরে। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর তখন করোনা ছিল। খেলা যে ২৪ নভেম্বর শুরু হবে, এমন খবর আমাদের জানা ছিল না। আমাদের ধারণা ছিল ২০ বা ২২ নভেম্বর শুরু হবে। সেক্ষেত্রে সে কবে সুস্থ হবে, কোনদিন মাঠে খেলতে নামবে.. এসব নিয়ে ভাবনা হচ্ছিল। আমরা যদি কাউকে দলে নিয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত খেলাতে না পারি তাহলে বিরাট ক্ষতি। মাহমুদউল্লাহ আমাদের পরিকল্পনায় থাকলেও করোনার কারণেই ওকে ডাকা হয়নি।
কাগজে-কলমে রাজশাহীকে অনেকেই পিছিয়ে রাখছে। নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে এই দলে রয়েছেন সাইফ উদ্দিন, শেখ মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর মতো তরুণ ক্রিকেটার। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, রনি তালুকদার, কাজী নুরুল হাসান সোহান ও রাকিবুল হাসান।
নিজের দল নিয়ে সন্তুষ্ট নাজমুল হাসান। বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমাদের খুব ভালো একটা দল হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা প্রতি বছরের পারফর্মার এবং ভালো ক্রিকেট খেলে, তারা আমাদের দলে আছে। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার কথা চিন্তা করলে খুব ভালো একটি দল। আমরা চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য খেলব। অনেক লম্বা একটা টুর্নামেন্ট, তাই ধাপে ধাপে আমরা এগোতে চাই।’