ইরাকে একযোগে ২১ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। সোমবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাসিরিয়ার একটি কারাগারে একযোগে এসব মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এই মৃত্যুদণ্ডের তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে।(খবর ডয়চে ভেলের)
বিবৃতিতে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে উত্তরাঞ্চলীয় শহর তাল-আফারে পৃথক দুটি হামলা চালিয়ে কয়েক ডজন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক হত্যার ঘটনায় জড়িতরাও রয়েছে।
২০১৭ সালে ইরাকে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের পতনের পর একযোগে এত মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি। সন্ত্রাসীদের বিচার প্রক্রিয়া ও গণহারে মৃত্যুদণ্ড দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দোষী সাব্যস্তদের মধ্যে ১১ ফরাসি এবং একজন বেলজিয়ান ছিল। এর আগে পর্যন্ত ইরাকে কোনো বিদেশি আইএস সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি।
২০১৪ সালের জুনে হঠাৎই উত্থান ঘটে আইএসের। কয়েক মাসের মধ্যে তারা দখল করে নেয় ইরাক ও সিরিয়ার বিরাট একটা অঞ্চল। লাখ লাখ অধিবাসীদের ওপর চালায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতায় তিন বছরের লড়াই শেষ ২০১৭ সালে জঙ্গিগোষ্ঠীটির সাময়িক পতন ঘটে। এরপর হত্যা ও নিপীড়নের অভিযোগে শত শত সন্দেহভাজন জঙ্গিকে বিচারের মুখোমুখি করে ইরাক।
সেই সঙ্গে কার্যকর করা হয় বেশ কয়েকটি গণফাঁসি। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ সোমবার একসঙ্গে ২১ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তবে ইরাকের বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থায় অসম্পূর্ণতা এবং বিচারে ত্রুটির অভিযোগ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো এবং আঞ্চলিক অন্যান্য শক্তি।
ইরাক সেসব দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, বিচার সুষ্ঠু হয়েছে।
ইরাকের কারাগারে এখনও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনশ’র মতো আইএস যোদ্ধা রয়েছে। এদের মধ্যে শতাধিক বিদেশি নারী রয়েছেন। আর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছে আরও কয়েকশ’ আইএস যোদ্ধা।